Summary
ইলেকট্রনিকস ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে শক্তিশালী এক্সেলেরেটর তৈরি সম্ভব হয়েছে, যা নতুন কণার আবিষ্কারে সহায়তা করেছে। Standard Model ব্যবহার করে মৌলিক কণাগুলোর সঠিক বিন্যাস করা যায়, তবে ভর ব্যাখ্যার জন্য হিগস বোজন কণার প্রয়োজন। ২০১৩ সালে এই কণার শনাক্তকরণ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে একটি বড় সাফল্য।
১৯২৪ সালে হাবল দেখান যে, সব গ্যালাক্সি দূরে সরে যাচ্ছে, যা প্রমাণ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে এবং অতীতে এটি একত্রিত ছিল। বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রায় চৌদ্দ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাং থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরি হয়েছে এবং এর প্রসারণ অব্যাহত থাকবে।
পদার্থবিজ্ঞানীরা এখনও জানান, তাঁরা দৃশ্যমান বিশ্বের মাত্র ৪ শতাংশ ব্যাখ্যা করতে সক্ষম, বাকি ব্যাখ্যার জন্য ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি ধারণার প্রয়োজন। কঠিন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা আধাত্ত্বিক পদার্থের উদ্ভব ঘটায়, যা বর্তমান ইলেকট্রনিকসের ভিত্তি।
ইলেকট্রনিকস এবং আধুনিক প্রযুক্তির আবিষ্কারের কারণে শক্তিশালী এক্সেলেরেটর তৈরি করা সম্ভব হয় এবং অনেক বেশি শক্তিতে এক্সেলেরেট করে নতুন নতুন কণা আবিষ্কৃত হতে থাকে। তাত্ত্বিক Standard Model ব্যবহার করে এই কণাগুলোকে চমৎকারভাবে সুবিন্যস্ত করা সম্ভব হয়। আপাতদৃষ্টিতে অসংখ্য নতুন নতুন কথা মনে হলেও অল্প কয়েকটি মৌলিক কণা (এবং তাদের প্রতি পদার্থ) দিয়ে সকল কলার গঠন ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়। Standard Model ব্যবহার করে এই কণাগুলোর ভর ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় বলে ভরের জন্য হিগস বোজন নামে একটি নতুন কণার অস্তিত্ব ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। 2013 সালে পরীক্ষাগারে হিগজ বোজনকে শনাক্ত করাটি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের বিরাট সাফল্য হিসেবে ধরা হয়।
1924 সালে হাবল দেখিয়েছিলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবগুলো গ্যালাক্সি একে অন্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যেটি প্রদর্শন করে যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে। যার অর্থ অতীতে একসময় পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এক জায়গায় ছিল। বিজ্ঞানীরা দেখান প্ৰায় চৌদ্দ বিলিয়ন বছর আগে ‘বিগ ব্যাং' নামে একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তৈরি হওয়ার পর সেটি প্রসারিত হতে থাকে। অতি সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, এই প্রসারণ কখনোই থেমে যাবে না এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই একটি অন্যটি থেকে দূরে সরে যাবে। পদার্থবিজ্ঞানীরা আরো দেখিয়েছেন, তারা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের দৃশ্যমান গ্রহ নক্ষত্র গ্যালাক্সির মাত্র 4 শতাংশ ব্যাখ্যা করতে পারেন, বাকি ব্যাখ্যা করতে হলে রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জির ধারণা মেনে নিতে হয়। যার গঠন নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন।কঠিন পদার্থের বিজ্ঞান (Solid State) নিয়ে গবেষণা অর্ধপরিবাহী পদার্থের জন্ম দেয়, যেগুলো ব্যবহার করে বর্তমান ইলেকট্রনিকস গড়ে উঠেছে, যেটি বর্তমান সভ্যতার ভিত্তিমূল।
Read more